প্রিয় মানুষের সঙ্গে প্রায়ই নানা কারণে কথা কাটাকাটি হয়। এই কথা কাটাকাটির জেরে আমরা অযথা আঘাত করে বসি বিপরীত দিকের মানুষটিকে। দোষ গুণ যাই হোক না কেন, আমাদের একটা সম্পর্কের সঙ্গে অনেকটা আবেগ জড়িয়ে থাকে।
স্বামী স্ত্রী শুধু নয়, বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গেও এমন সমস্যা হতে পারে। প্রিয়জন বা সঙ্গীর সঙ্গে কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হল মানে এই নয় যে তা মিটিয়ে নেয়া যায় না। কিন্তু কায়দাটা জানতে হবে। বলার কায়দা ঠিক হলে কখনও সমস্যা একবারে মিটে যায়। আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায় সম্পর্ক।
ভারতীয় মনোবিদ নিকোল লেপেরা তার ইনস্টাগ্রামে সম্পর্ক নিয়ে কিছু টিপস দিয়ছেন। তার কথায়, অনুভূতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিপরীতজনের কথা ভালো না লাগলেও সে কেন এমন ভাবছে, আর কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে তা বোঝা জরুরি। এতে অনিচ্ছাকৃত আঘাত দেওয়ার জন্য মাফ চাইতে সুবিধা হয়।
মন থেকে ক্ষমা চেয়ে কোনো ঝামেলা মিটিয়ে নিতে চাইলে বুঝতে হয় বিপরীতজনের কথাও। অনেকে মনে করেন, আমি তো ইচ্ছে করে করিনি, ফলে দোষটা আমার নয়। এতে নিজেকে সন্তুষ্ট করা গেলেও সমস্যা মেটে না। তাই বিপরীত মানুষটির কথাও ভাবুন।
শুধু ক্ষমা চেয়ে যেকোনো সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যায় না। পাশাপাশি তার কথাও শোনা জরুরি। এতে আপনার পাশাপাশি সে কীভাবে ঘটনাটিকে দেখছে তাও বোঝা যায়। আপনি তা বুঝতে পারলে সেও বেশ খুশি হবে। এতে সমস্যা ভেতরে ভিতরে জিইয়ে থাকে না।
পরেও তার সঙ্গে মতভেদ হতে পারে। তবে মন থেকে ক্ষমা চাইলে পরেও তার দৃষ্টিভঙ্গির কথা মাথায় থাকবে। এতে মনোমালিন্য বা ঝগড়া ঝামেলা বারেবারে হবে না। ফলে নতুন করে সম্পর্কে জটিলতা দেখা দেবে না।